বাঁকুড়ার সোনামুখীতে সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূল নেতৃত্ব

10th June 2020 7:19 pm বাঁকুড়া
বাঁকুড়ার সোনামুখীতে সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূল নেতৃত্ব


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বাঁকুড়া ) : ২০২১ সালের আসন্ন নির্বাচনকে পাখির চোখ করে নির্বাচনি প্রচার শুরু করে দিলেন সোনামুখী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রণব রায় বুধবার পঞ্চায়েত সমিতির সভা গৃহে সাংবাদিক সম্মেলন করে মূলত তৃণমূল সরকারের রাজ্য জুড়ে উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরার পাশাপাশি এদিন তিনি বিজেপির দুর্নীতির প্রসঙ্গে মুখর হয়ে ওঠেন। তিনি বলেন 5 লক্ষ গৃহঋণ পরিবারকে গৃহ দিয়েছে এই তৃণমূলের সরকার পরিযায়ী শ্রমিকরা তাদের পরিবারকে কুড়ি হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে ২৩ লক্ষ কৃষককে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে লকডাউন ও মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করেছেন বর্তমানে তৃণমূল সরকার . অথচ বিজেপি রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বিমাতৃসুলভ আচরণেও সমালোচনা করেন। এছাড়া দেশের করোনা পরিস্থিতির জন্য সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বলেন 'আমাদের দেশে করোনাভাইরাস নিজে থেকে আসেনি। এঁকে আনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী প্লেনে করে করোনাকে এই দেশে নিয়ে এসেছে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার মোকাবিলা করছেন। তিনি অন্য রাজ্যের মতো এ রাজ্যে করোনাকে ছড়াতে দেন নি। বর্তমানে করোনা সংক্রমণের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গর অবস্থা অন্য রাজ্যগুলোর থেকে অনেক ভালো। দিল্লি, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, তেলেঙ্গানা রাজ্যের অবস্থা ভয়াবহ। আমাদের রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর তৎপরতায় করোনায় মৃত্যুর হারও অনেক কম। কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও করোনা এবং তার পরবর্তী আমফান ঝড়ের তান্ডবে লণ্ডভণ্ড বাংলাকে ছন্দে ফিরিয়ে আনতে দিনরাত এক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়াই করে চলেছেন'। বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ এর পাশাপাশি তিনি আরো বলেন বিজেপি ছেলে খেলা করছে এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে সোনামুখী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছাড়াও তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শেখ ইউসুফ সহ একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।